Education

শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :

শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য :
আল্লাহ তায়ালা মানুষকে যে উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন, সেই উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে তার বিধি-নিষেধ জেনে উহার প্রতিফলনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও সামগ্রীক জীবনে সংশোধন ওপূনর্গঠন করণ ।
মানুষের মাঝে আত্মসচেতনতা সৃষ্টি , তার ব্যক্তিসত্ত্বার উন্নয়ন, দায়িত্ব ও মর্যাদাবোধ জাগিয়ে তোলা ।
ব্যক্তির অন্তর্নিহিত মানবিক গুণাবলী ও সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশের মাধ্যমে তার শারীরিক, মানসিক, নৈতিক ও সামাজিক উন্নতি সাধন করা ।

শিক্ষার প্রতিটি স্তরে শিক্ষার্থীদের মনে দেশ ও জাতির কল্যানের জন্য জাতীয়তাবোধ, দেশাত্মবোধ, নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সৃষ্টি করা । শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানার্জনের প্রতি অনুরাগ , সত্যানুসন্ধিৎসু মন, ন্যায়পরায়নতা, শিষ্টাচার এবং দেশসেবার লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা ।

নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক ও অর্থতিক উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যার যথাযত শিক্ষার মাধ্যমে বৃহৎ জনশক্তিকে জনসম্পদে পরিনত করা ।

বস্তুত যে শিক্ষার দ্বারা শিক্ষার্থীর ব্যক্তি চরিত্র্ ও কর্মের আদর্শের বাস্তব প্রতিফলন হয় না কিংবা যে শিক্ষা মানব কল্যানে নিয়োজিত হয় না , সে শিক্ষাকে প্রকৃত অর্থে শিক্ষা নামে অভিহিত করা যায় না । রাসূলে কারীম ( সা: ) এ ধরনের শিক্ষা থেকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট পানাহ ( আশ্রয় ) চেয়েছেন ।
এ পর্যায়ে একটি হাদীস বর্ণিত হচ্ছে :
عن زيد بن ارقم ( رض ) قال : كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : اللهم انى اعوذبك من علم لا ينفع- ( رواه مسلم - ) 
অনুবাদ : যায়েদ ইবনু আরকাম ( রা: ) হতে বর্ণিত- তিনি বলেন : রাসুলে কারীম ( সা: ) বলেছেন : হে আল্লাহ ! আমি আপনার নিকট অনর্থক বিদ্যা থেকে পানাহ চাই । ( সূত্র: সহীহ মুসলিম : হাদীস নং-২৭২২ )
মূলত: আত্মগঠন ও মানব কল্যানের লক্ষ্যই বিদ্যা অর্জনের মূল উদ্দেশ্য ।

কবির ভাষায় :

আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে 
আসে নাই কেহ অবনী পরে ,
সকলের তরে সকলে মোরা 
প্রত্যেকে মোরা পরের তরে ।


শিক্ষার সংজ্ঞা:- 

শিক্ষা কাকে বলে ? এ পর্যায়ে বিভিন্ন মনীষী ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে বিষয়টিকে সঙ্গায়িত করার প্রয়াস চালিয়েছেন । নিম্ন তা আলোচিত হলো :
বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (সা:) এর মতে যে শিক্ষা মানুষের মনুষ্যত্বকে বিকশিত করে 
তোলে, তাই হলো শিক্ষা ।
আল্লামা ইকবালের মতে মানুষের খুদী তথা পরমাত্মার উন্নয়নই হলো আসল শিক্ষা ।
দার্শনিক সক্রেটিসের মতে-নিজেকে জানার নাম শিক্ষা
কবি মিল্টনের ভাষায় - শরীর, মন, ও আত্মার সমন্বিত ভারসাম্যপূর্ণ উন্নতির নাম হলো শিক্ষা ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় মানুষের ভেতরের আসল মানুষটির পরিচর্যা করে খাটি মানুষ বানাবার প্রচেষ্টার নাম শিক্ষা ।

 দ্বীনী ইলম শিক্ষার গুরুত্ব ও ফজিলাত : 

ভূমিকা :
আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে জীবনের চলার পথে সঠিক পথ নির্দেশনা দেওয়ার লক্ষ্যে যুগে যুগে অসংখ্য নাবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন । তাঁর প্রেরীত নাবী-রাসূলদের নিকট হেদায়েতের যে বাণী পাঠিয়েছেন তাকে বলা হয় ওহী ।যুগে যুগে প্রেরীত নাবী-রাসূলদের মধ্য থেকে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নাবী হলেন বিশ্বনাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা:) । তাঁর উপর অবতারিত কিতাব কুরআনূল কারীম গোটা মানবজাতির জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান । আর রাসূলে কারীম (সা:) এর যবান নি:সৃত বাণীকে বলা হয় সুন্নাহ বা হাদীস । ওহী বলতে কুরআন ও সুন্নাহ দুটোকেই বুঝানো হয়ে থাকে । কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণের মধ্যেই নিহিত রয়েছে মানব জাতির জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণমুক্তি ও সফলতা । তাই কুরআন-সূন্নাহর জ্ঞান অর্জন করা প্রতিটি মুসলিম নর-নারীর উপর ফরজ করে দেওয়া হয়েছে । কারণ একমাত্র ওহীভিত্তিক জ্ঞানার্জনের মাধ্যমেই ইসলামী শরীয়ার হালাল-হারামকরনীয় ও বর্জনীয় বিষয় জানা সম্ভব হতে পারে । কোন পথে চললে আমাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ ও সফলতা আর কোন পথে রয়েছে ব্যর্থতা এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত রয়েছে শাস্তি ও লাঞ্চনাতা সুস্পষ্টরূপে বর্ণিত হয়েছে । অতএব দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি ও মুক্তি পেতে হলে কুরআন-সুন্নাহর অনুসরণের বিকল্প কোন পথ নেই । আর কুরআন-সুন্নাহর অনুসরণ কুরতে হলে উহার জ্ঞান অর্জন করতে হবে । তাই কুরআন-সুন্নাহর আলোকে দ্বীনী ইলম শিক্ষার গুরুত্ব ও ফজিলাত সম্পর্কে আলোচিত হচ্ছে ।
কুরআনুল কারীমের আলোকে দ্বীনী ইলম শিক্ষার গুরুত্ব :
০১. ওহীর প্রথম বাণী :
قا ل الله سبحا نه وتعا لى 
اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ-( سورة زمر –أية 01)
অনুবাদ : পড়ো তোমার প্রভূর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন ।
ব্যাখ্যা :
দ্বীনী ইলম শিক্ষার গুরুত্ব সব চেয়ে বেশি হওয়ার কারণে ওহীর প্রথম বাণীতে ইরশাদ হয়েছে اقرأ অর্থাৎ পড়ো । তার মানে দ্বীনী ইলম শিক্ষা করা ফরজ করে দেওয়া হয়েছে ।

০২. আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ ফরমান :
জ্ঞানী ও মূর্খ কখনো সমান হতে পারে না । 
قا ل الله تبارك وتعا لى :
قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لا يعلمون ( الزمر 9- )
অনুবাদ : হে নবী আপনি বলে দিন যে ব্যক্তি ( কুরআন-সুন্নাহ তথা শরীয়াতের বিধান ) জানে আর যে জানে না তারা কি উভয়ে সমান গতে পারে তার মানে কখনই সমান হতে পারে না ।
০৩. যাদেরকে দ্বীন ইলমের জ্ঞান দান করা হয়েছে তাদেরকে বিশেষ মর্যাদা দান করা হয়েছে ঐসব লোকদের উপর যারা তা জানে না ।
قال الله سبحا نه وتعا لى :
*يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آَمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٌ (المجادلة-11) 
অনুবাদ : তোমাদের মধ্য থেকে যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের মধ্য থেকে যাদেরকে দ্বীন ইসলামের জ্ঞান দান করা হয়েছে তাদেরকে বিশেস সন্মান বা মর্যাদা দান করা হয়েছে ।
ব্যাখ্যা :
আলোচ্য আয়াতে কারীমা দ্বারা একথা প্রতীয়মান হলো যেঈমান্দার ব্যক্তিদের মধ্য থেকে যাদেরকে ওহীর জ্ঞানে জ্ঞানী করা হয়েছে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে বিশেষ সন্মানে ভূষিত করেছেন ।অর্থাৎ- তাদের মস্তকে মর্যাদার বিশেষ মুকুট পরিয়ে দিয়েছেন ।
০৪. অন্য আয়াতে কারীমায় ইরশাদ হয়েছে ।
قال الله تبارك وتعا لى :
شَهِدَ اللَّهُ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ وَالْمَلَائِكَةُ وَأُولُو الْعِلْمِ قَائِمًا بِالْقِسْطِ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ( العمران-18)-
অনুবাদ : ইরশাদ হচ্ছে যেআল্লাহ তায়লা স্বয়ং এ কথার উপর স্বাক্ষ্য দিচ্ছেন যেতিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই । আল্লাহর স্বাক্ষ্যের পাশাপাশি একথার স্বাক্ষ্য দিচ্ছেন
ফেরেশ্তামন্ডলী ও ওলামায়ে কেরাম । আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র ইনসাফের উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছেন ।
ব্যাখ্যা :
আলোচ্য আয়াতে কারীমায় আল্লাহ তায়ালা তার সত্তার একত্ববাদের স্বাক্ষ্য দিয়েছেন । প্রথমে তিনি নিজে দ্বিতিয় পর্যায়ে ফেরেশ্তামন্ডলী ও তৃতীয় পর্যায়ে ওলামায়ে কিরামের কথা উল্লেখ করা হয়েছে । এর দ্বারা একথা প্রতীয়মান হয় যে,মর্যাদার দিক থেকে (নাবী-রাসূল ব্যতিত ) ফেরেশ্তাকুলের পরেই ওলামায়ে কেরামের অবস্থান ।
০৫. আল্লাহ তায়ালা আরও ইরশাদ ফরমান : যারা ওহীর জ্ঞানে জ্ঞানী তথা আলিম তারাই আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করেন ।
قا ل الله تعالى : 
إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَماء – ( الفا طر -28 )
অনুবাদ : একমাত্র ( ওহীর জ্ঞানে জ্ঞানী ) আলিমগণই আমাকে ভয় করে থাকে ।
০৬.আল্লাহ তায়ালা আরও ইরশাদ ফরমান :
قال الله تعا لى : 
• فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ ( النحل-43)
অনুবাদ : তোমরা যারা জানো না যারা জানে তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞেস করে জেনে নাও ।
০৭. একমাত্র আলিমগণই ভাল-মন্দ ও হক বাতিলের মাঝে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে । এ পর্য়ায়ে কুরআনূল কারীমে ইরশাদ হয়েছে :
• وَمَا يَعْقِلُهَا إِلَّا الْعَالِمُونَ-(العنكبوت- 43) অনুবাদ : একমাত্র আলেমগণই ( ভাল-মন্দ ও হক-বাতিলের মাঝে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে ।
হাদীসের আলোকে ইলম শিক্ষার ফজিলাত :
প্রথম হাদীস:
عن أنس بن مالك ( رض) قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم : " طلب العلم فريضة على كل مسلم " ( رواه ابن ماجه-ررقم الحديث-224- مطبع مصر )
وفى رواية : على كل مسلمة – 
অনুবাদ : আনাস ( রা:) হতে বর্ণিত : তিনি বলেন : রাসূলে কারীম ( সা: ) বলেছেন : প্রতিটি মুসলিম পুরুষের উপর দ্বীনী ইলম শিক্ষা গ্রহণ করা ফরজ । 
অন্য রেওয়ায়েতে এসেছে প্রতিটি মুসলিম নর-নারীর উপর দ্বীনী ইলম শিক্ষা গ্রহণ করা ফরজ । ( তথ্য সূত্র- ইবনে মাযাহ = হাদীস নং- ২২৪ )
عن معا وية (رض) قا ل : قا ل رسول الله صلى الله تعالى عليه وسلم : "من يرد الله خيرا يفقه فى 
الدين _ " 
رواه البخا رى، رقم الحديث: 7312-ومسلم، 1037- كل مطبع مصر- )
অনুবাদ : মুয়াবিয়া (রা: ) হতে বর্ণিত : তিনি বলেন ।( রাসূল সা:) ইরশাদ ফরমায়েছেন : আল্লাহ তায়ালা যার জন্য বিশেষ কল্যাণ কামনা করেন,তাকে দ্বীনী জ্ঞান অর্জন ও বুঝার তাওফিক দান করেন । 
তথ্যসূত্র : সহীহ বুখারী= হাদীস নং-৭৩১২- ও সহীহ মুসলিম=হাদীস নং ১০৩৭ )
তৃতীয় হাদীস :
عن ايى هريرة ( رض) قا ل : قا ل رسو ل الله صلى الله عليه وسلم : " اذا ما ت الا نسا ن انقطع عنه عمله الا من ثلا ثة الا من صدقة جارية او علم ينتفع به او ولد صالح يدعو له " _ 
رواه مسلم ، رقم الحديث : 1631، مطبع مصر )
অনুবাদ : আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত : তিনি বলেন : রাসূল (সা: ) বলেছেন : যখন মানুষ মৃত্যু বরণ করে তখন তার সব আমলের দরজা বন্ধ হয়ে যায় । কিন্তু
তিনটি আমল (উহার ছুওয়াব বন্ধ হয় না । ) । 
০১. ছাদক্বায়ে জারিয়া অর্থাৎ- প্রবাহমান ছাদক্বাহ । 
০২. ইলম : যার দ্বারা জনগণ উপকৃত হয় । 
০৩. নেক সন্তান : যে তার জন্য দোওয়া করে । 
তথ্য সূত্র : সহীহ মুসলিম=১৬৩১ )
চতুর্থ হাদীস :
عن قيس بن كثير قال : قدم رجل من المدينة على أبي الدرداء وهو بدمشق فقال ما أقدمك يا أخي ؟ فقال حديث بلغني أنك تحدثه عن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال أماجئت لحاجة ؟ قال لا قال أما قدمت لتجارة ؟ قال لا قال ما جئت إلا في طلب هذا الحديث ؟ قال فإني سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول من سلك طريقا يبتغي فيه علما سلك الله له طريقا إلى الجنة وإن الملائكة لتضع أجنحتها رضاء لطالب العلم وإن العالم ليستغفر له من في السموات ومن في الأرض حتى الحيتان في الماء وفضل العالم على العابد كفضل القمر على سائر الكواب إن العلماء ورثة الأنبياء إن الأنبياء لم يورثوا دينارا ولا درهما إنما ورثوا العلم فمن أخذ به أخذ بحظ وافر – 
رواه احمد، رقم الحديث: 21207- والترمذى- 2682- وابن ماجه- 223- كل مطبع مصر )
অনুবাদ: তাবেয়ী কাছির ইবনু ক্বায়েছ (রহ: ) বলেন : আমি দামেশকের মসজিদে বিশিষ্ট সাহাবী আবুদ্দারদাহ (রা:) এর সহিত বসাবস্থায় ছিলাম এমন সময় তার নিকট জনৈক ব্যক্তি এসে বল্লেন : হে আবুদ্দারদাহ ! আমি সুদূর মদিনাতুর রাসূল থেকে আপনার নিকট শুধু একটি হাদীস শুনার জন্য এসেছি । আপনি নাকি উহা রাসূল (সা:) হতে বর্ণনা করে থাকেন । তখন আবুদ্দারদাহ (রা:) বল্লেন : হ্যা আমি রাসূল ( সা: ) বলতে শুনেছি : তিনি বলেন যে ব্যক্তি ইলম আন্বেষণ করার লক্ষ্যে কোন পথ অবলন্বন করে আল্লাহ তায়ালা এর বিনিময়ে তাকে জন্নাতের পথ সমূহের মধ্য থেকে একটি পথে পৌছিয়ে দেন এবং ফেরেস্তাগণ ইলম অন্বেষণকারীদের সন্তুষ্টির জন্য তাদের নিজেদের পাখা বিছিয়ে দেন । এতদ্ব্যতীত যারা আলেম তাদের জন্য আকাশ ও পৃথিবীতে যারা আছেন তারা সকলেই আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা ও দোওয়া করতে থাকেন । এমনকি পানির মধ্যে 
অবস্থিত মাছসমূহ তাদের জন্য দোওয়া করে থাকেন । আলেমের ফজিলাত সাধারণ
আবেদের (ইবাদতকারী ) উপর এমন যেমন পূর্ণিমার চাঁদের মর্যাদা অন্যান্য তারকারাজির উপর । আর আলিমগণ হচ্ছেন নাবীদের ওয়ারিশ । নাবীগণ কোন দীনার বা দিরহাম ( টাকা-পয়সা ও ধনসম্পদ ) রেখে যান না । তারা মিরাছ হিসেবে রেখে যান শুধু ইলম । সুতরাং যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করলো সে সৌভাগ্যের পূর্ণ অংশ গ্রহণ করলো । ( তথ্যসূত্র - আহমদ= হাদীস নং ২১২০৭- তিরমিজি= ২৬৮২- ইবনু মাজাহ =২২৩ )
পঞ্চম হাদীস :
عن ابى اما مة البا هلى (رض) قال : قا ل رسول الله صلى الله عليه وسلم : ذكر لرسول الله (ً ص) رجلان، احدهما عابد والا خر عا لم ، فقا ل رسول الله (ًص ) " ان الله وملائكته واهل السما وا ت والارض حتى النملة فى حجرها حتى الحوت ،ليصلون على معلم الناس الخير "_ 
তথ্যসূত্র : তিরমিজি
সূল (সা: ) এর নিকট দুজন ব্যক্তি সম্পর্কে আলোচিত হলো । তাদের একজন আবেদ ( সাধারণ ইবাদতকারী ) আর অপরজন আলেম । ( কার ফজিলাত বেশি ?) । রাসূল (সা:) বললেন : আবেদের উপর আলেমের শ্রেষ্ঠত্ব যেমন আমার শ্রেষ্ঠত্ব তোমাদের মধ্যে একজন সাধারণ ব্যক্তির উপর । অত:পর রাসূল (সা:) বললেন : আল্লাহ তায়ালা ও তার ফেরেস্তাগণ এবং আসমান যমিনের অধিবাসীরা এমনকি গর্তের পিপীলিকা ও পানির মাছ পর্যন্ত যে ব্যক্তি মানুষকে ভাল কথা বলে তথা ইলম শিক্ষা দিয়ে থাকেন ,তার জন্য দোওয়া করে ।। ( কার ফজিলাত বেশি ?) । রাসূল (সা:) বললেন : আবেদের উপর আলেমের শ্রেষ্ঠত্ব যেমন আমার শ্রেষ্ঠত্ব তোমাদের মধ্যে একজন সাধারণ ব্যক্তির উপর । অত:পর রাসূল (সা:) বললেন : আল্লাহ তায়ালা ও তার ফেরেস্তাগণ
এবং আসমান যমিনের অধিবাসীরা এমনকি গর্তের পিপীলিকা ও পানির মাছ পর্যন্ত যে ব্যক্তি মানুষকে ভাল কথা বলে তথা ইলম শিক্ষা দিয়ে থাকেন ,তার জন্য দোওয়া করে । ( তথ্যসূত্র : তিরমিজি )
৬ষ্ঠ হাদীস : 
عن انس (رض) قا ل : قا ل رسول الله صلى الله عليه وسلم : " من خرج فى طلب العلم فهو فى سبيل الله " 
رواه الترمذى ، رقم الحديث : 2647- والد ار مى )
অনুবাদ: আনাস ( রা : ) হতে বর্ণিত : তিনি বলেন-রাসূল (সা:) বলেছেন : “ যে ব্যক্তি ইলম অন্বেষণের লক্ষ্যে নিজ বাড়ি থেকে বের হলো সে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় রয়ে গেল ।’’
তথ্যসূত্র : তিরমিজি=২৬৪৭ দারমি ।)
আহবান :

তাই আসুন ! আমরা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য হাছিলের চেতনা নিয়ে দ্বীনী জ্ঞান নিজে অর্জন করি এবং আমাদের সন্তানদের দ্বীনীশিক্ষায় শিক্ষিত করি । মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে নেক তাওফিক দান করুন । - আমীন

একটি ভাষা আয়ত্ব করণের উপায় :


একটি ভাষা সেটি মাতৃভাষা হউক আর বিদেশী ভা্ষা, তা অনুধাবন ও 
আয়ত্ব করনের চারিটি উপায় রয়েছে যথা- পড়া, লিখা, বলা ও শোনা ।এই চারিটি
বিষয়ই দক্ষ হতে না পারলে ভাষাটি আয়ত্ব করা সহজ হবে না ।
০১. Listening ( শোনা ) :
সেই ভাষায় বক্তৃতা, রেডিও অথবা টিভির সংবাদ শ্রবণ ও অন্যান্য মননশীল,সৃজনশীল গঠনমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শোনা প্রয়োজন । তবে এর পাশাপাশি ব্যাকরণগত মৌলিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক ।
০২. Speaking ( বলা ) : 
কয়েকজন মিলে সেই ভাষায় কথা বলার জন্য একটি Team বা গ্রুপ করা যায় । এই গ্রুপকে Conversation team বলে । এরা নিজেদের ভেতর সেই ভাষায় কথা বলবে । 
০৪.Listening ( শোনা ) : সেই ভাষায় বক্তৃতা, রেডিও অথবা টিভির সংবাদ শ্রবণ ও অন্যান্য মননশীল,সৃজনশীল গঠনমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শোনা প্রয়োজন । তবে এর পাশাপাশি ব্যাকরণগত মৌলিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক ।
০৪.Listening ( শোনা ) : সেই ভাষায় বক্তৃতা, রেডিও অথবা টিভির সংবাদ শ্রবণ ও অন্যান্য মননশীল,সৃজনশীল গঠনমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শোনা প্রয়োজন । তবে এর পাশাপাশি ব্যাকরণগত মৌলিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক ।
০৪.Listening ( শোনা ) : সেই ভাষায় বক্তৃতা, রেডিও অথবা টিভির সংবাদ শ্রবণ ও অন্যান্য মননশীল,সৃজনশীল গঠনমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শোনা প্রয়োজন । তবে এর পাশাপাশি ব্যাকরণগত মৌলিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক ।
০৩. Reading (পড়া ) : 
পড়ার জন্য সংবাদপত্র পাঠ, ছোট গল্পের বই, উপন্যাস ও সাহিত্যগ্রন্থ অধ্যয়ন করতে হবে ।
০৪. Writing ( লিখা ) :

লিখার ক্ষেত্রে অনুবাদ, প্রবন্ধ, রচনা, কবিতা রচনা, বন্ধু-বান্ধব বা অন্য কারও কাছে সেই ভাষায় চিঠি বা দরখাস্ত লিখার চর্চা করতে হবে ।

01. What is Education ?


Education is the change.
Education refine our brain. 
Education differentiate 
between right and wrong.
Education makes us strong.
Education teaches us to be civil.
Education tells us to give up path of evil.
Education teaches us to be polite. 
You can not great without it.
02. A poem
use of time
Time is first, Time is last 
Don’t loss your time 
In the dust.
If you make good use 
of your time 
You will success.
The students who knows 
The value of time 
In future he will hold 
The position of prime.

ছন্দে ছন্দে ইংরেজি বর্ণমালা শিক্ষা : 
A.B.C
ভবিষ্যতে মানুষ হবো, প্রত্যাশা করেছি ।
D.E.F
পড়া-লেখায় কখনও দিওনাকো গেপ ।
G.H.I
আল্লাহ সবার বড়, তার উপর নাই ।
J.K.L
পড়া-লেখা না করলে নির্ঘাত করবে ফেল ।

M.N.O
গুনাহর কাজ করোনাকো, ভুলেও কখনও ।
P.Q.R
পড়া-লেখায় ভাল হতে, চেষ্টা করো বারবার ।
S.T.U
মৃত্যুর পর দিতে হেব, ক্ববরে ইন্টারভিউ ।
V.W.X 
সব সময় পরিষ্কার রাখো, নিজের সব ড্রেস ।
Y and Z
ভোর বেলায় পড়তে বসো, ছেড়ে দিয়ে বেড ।


গল্পের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ :

বাগদাদ শহরের তিনবন্ধু :

ফেসবুকের বন্ধুরা ! আসসালামু আলইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ । 
আমি আপনাদের নিকট একটি মজার ও উপদেশমূলক গল্প শুনাবো । আপনারা
মনোযোগ দিয়ে শুনবেন কেমন বাগদাদ শহরে ছিল তিন বন্ধু । একদা তিনবন্ধু সফরের উদ্দেশ্যে অজানা পথে পাড়ি জমালো । পথ চলতে চলতে সন্ধ্যা নেমে এলো । রাত্রি যাপনের উদ্দেশ্যে তারা একটি গিরি গুহায় আশ্রয় নিল । গভীর অন্ধকারে গুহার মধ্যে তারা একটি চকচকে বস্তু দেখতে পেল । চকচকে পদার্থটি হাতে তুলে নিয়ে দেখতে পেলসেটি একটি স্বর্ণের টুকরো । 
ঐ গুহায় অবস্থান করতো ডাকাতদল । যারা রাস্তায় ডাকাতি করে মালামাল ঐ গুহায় সঞ্চয় করতো । ভুলক্রমে তারা স্বর্ণের টুকরোটি রেখে চলে গেছে । আর যায় কোথায় তিনবন্ধুর আনন্দ আর দেখে কে তারা পরস্পর বলাবলি করতে লাগলো রে ! আমাদের ভাগ্যের চাকা তো ঘুরে গেছে । অলৌকিকভাবে আমরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হলাম । এখন আমরা এ এলাকার মধ্যে বড় ধনী । 
কিন্তু পরিতাপের বিষয়লোভ-লালসা তাদের প্রত্যেকেই পেয়ে বসলো । তারা প্রত্যেকেই চিন্তা করতে লাগলো এই স্বর্ণের টুকরাটির মালিক আমাকে একাই হতে হবে । তাই কিভাবে অন্য দুজনকে হত্যা করে একাই ঐ স্বর্ণের মালিক হওয়া যায়তাই পরিকল্পনা আটতে লাগলো ।
তারপর কি হলো জানেন তাদের মধ্যে একজনকে খাদ্য ক্রয়ের উদ্দেশ্যে বাজারে পাঠানো হলো । এরপর অপর দুজন পরস্পর পরামর্শ করতে লাগলো ।
সে খাদ্য ক্রয় করে আমাদের নিকট আসা মাত্রই আমরা তাকে হত্যা করবো এবং
ঐ সম্পদ আমরা উভয়ে বন্টন করে নিব । 
অপরপক্ষে বাজারে গমনকারী ব্যক্তি মনে মনে পরিকল্পনা করলো যেআমি এই খাদ্যের মধ্যে বিষ মিশ্রিত করে আমার বন্ধুদ্বয়ের নিকট পেশ করবো । তারা উভয়ে ঐ বিষমিশ্রিত খাদ্য ভক্ষণ করে মৃত্যুবরণ করলে আমি একাই ঐ সম্পদের মালিক হবো ।উভয়দল নিজ নিজ পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে উদ্যত হলো, সে আর কি বলবো বন্ধুরা ! যেমন কল্পনা তেমন কাজ । খাদ্য ক্রেতা বন্ধু তাদের 
নিকট পৌছামাত্র তারা উভয়ে মিলে তাকে হত্যা করলো । এরপর দুজনের মধ্যে একজন চিন্তা করতে লাগলো এখন আমার প্রতিপক্ষ মাত্র একজন । আমি যদি একে হত্যা করতে পারি তাহলে একাই আমি ঐ সম্পদের মালিক হতে পারবো । সে সম্পদের মোহে কালবিলম্ব না করে প্রতিপক্ষ বন্ধুকে হত্যা করলো ।
এরপর সে মনে মনে বলতে লাগলো । আমি একাই এখন এ সম্পদের মালিক । আর চাই কি ! এ সবর্ণের টুকরোটি নিয়ে এখন সোজা বাড়ি চলে যাই । যাওয়ার আগে এক কাজ করি না কেন ঐলোকটি বাজার থেকে যে খাদ্য কিনে এনেছে তা খেয়েই যাই । লোকটি নিজের অজান্তে বিষমিশ্রিত খাদ্য ভক্ষণ করে ঘটনাস্থলেই প্রাণ ত্যাগ করলো । 
তারপর কি হলো জানেন কয়েকদিন পর ঐ পথ দিয়ে একজন জ্ঞানী ব্যক্তি যাচ্ছিলেন । তিনি ঘটনাটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে উপলব্ধি করতে পারলেন যেঘটনাটি কি ঘটেছে তিনি অনুতাপ করে বলতে লাগলেন । দু:খ দুনিয়ার কুকুরদের জন্য । এমনিভাবে দুনিয়াভোগী মানেুষের সাথে দুনিয়া তামাশা করে থাকে ।

আলোচ্চ ঘটনা থেকে শিক্ষা :


• কথায় বলে : লোভে পাপপাপে মৃত্যু । তাই শরীয়াহ নিষিদ্ধ ও প্রতাশিত লোভ-লালসা পহিার করতে হবে । 
• 
তিনটি কাজ ধবংসের মূল । লোভহিংসা ও অহংকার । তাই অবশ্যই এই তিনটি চারিত্রিক দোষ স্বীয় মন মানস থেকে দূর করতে হবে ।


No comments:

Post a Comment