বিশ্ব সভ্যতায় মুসলমানদের অবদান :
( লক্ষ্য : শিকড়ের সন্ধানে )
( লক্ষ্য : শিকড়ের সন্ধানে )
প্রথম কিস্তি ( Post no : 49 )
( অনুগ্রহপূর্বক আমার লিখাটি শেয়ার করে অশেষ ছুওয়াবের অংশিদার
হউন । )
ভূমিকা :
খ্রিষ্টীয় অস্টম শতাব্দী থেকে চতুর্দশ শতাব্দী পর্যন্ত
সমগ্র খ্রিষ্টান ও ইহুদী সম্প্রদায় যখন অজ্ঞতা ও মূর্খতার অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল ।
তখন পশ্চিমে আন্দুলুসিয়া ( স্পেন ) থেকে পূর্বে খোরাসান ও গজনী( পাক ভারত
উপমহাদেশ ) পর্যন্ত এই বিশাল ভূখন্ডে মুসলিম গবেষক, দার্শনিক
ও বিজ্ঞানীগণ জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় নতুন নতুন আবিষ্কার এবং গবেষণা দ্বারা
সমগ্র বিশ্বে জ্ঞানের আলো জ্বালিয়ে দেন । তাঁদের সেই অবদানের কারণই আজকের
জ্ঞান-বিজ্ঞান হয়েছে এত সমৃদ্ধ ও প্রসারিত ।
প্রত্যেক জতিরই একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় থাকে । তেমনি
মুসলমানরা মধ্য যুগে একটি সোনালী অধ্যায় রচনা করেছিল । শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞান-বিজ্ঞানে
বিশ্বের সর্বাপেক্ষা উন্নত জাতিতে পরিণত হয়েছিল । জন্ম দিয়েছিল আধুনিক বিজ্ঞানের ।
মধ্যযুগের সেই সমুন্নত মুসলিম সভ্যতার উজ্জ্বল স্বাক্ষর ইতিহাসের পাতায় বিধৃত
হয়েছে । একথা সূর্যালোকের মতো সত্য যে, তৎকালীন
বিশ্বের সর্বোন্নত সভ্যতা তথা মুসলিম জ্ঞান-বিজ্ঞানের সংশ্পর্শে এসেই ইউরোপীয়
সভ্যতা ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের রেনেসাঁ বা নবজাগরনের সূচনা হয় ।
মধ্যযুগে মুসলিম সভ্যতার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ :
মধ্যযুগে মুসলমানগণ জ্ঞান চর্চা ও সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে
তিনটি সোনালী সভ্যতা গড়ে তুলেছিলেন । নিম্নে তা আলোচিত হলো ।
০১. বাগদাদ কেন্দ্রিক সভ্যতা :
আব্বাসীয় শাসনামলে তদানিন্তন সময়ে কেন্দ্রীয় রাজধানী ছিল
বাগদাদ । আব্বাসীয় যুগকে জ্ঞান ও সাহিত্য চর্চার স্বর্ণযুগ বলা হয় । এশিয়া ও
ইউরোপের বিশাল অংশ নিয়ে সুবিশাল সাম্রাজ্য তারা গড়ে তুলেন । আব্বাসীয় যুগ
মুসলমানদের কৃষ্টি, সভ্যতা ও জ্ঞানানুশীলন বিশ্বসভ্যতার শীর্ষদেশে উন্নীত
হয়েছিল । নি:সন্দেহে আব্বাসীয় খলীফাদের পৃষ্ঠপোষকতায় মুসলমানগণ শিল্প, সাহিত্য, জ্ঞান-বিজ্ঞান
চর্চা, তাফসীর, হাদীস, ফিকহ্
( ইসলামী আইন শাস্ত্র ) , ইতিহাস, ভূগোল
, গণিত, বীজগণিত, জ্যামিতি, রসায়ন, জ্যেতিষশাস্ত্র, প্রাণী
ও উদ্ভিদ বিদ্যা, শিল্পকলা, ও
চিকিৎসা শাস্ত্রসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন অনুষদে জ্ঞান চর্চা ও শিক্ষা-দীক্ষায়
প্রসারতা ও উৎকর্ষতার চরম শিখরে উন্নীত হন ।
বাগদাদ শহরে সর্বাধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা সন্বলিত
বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন শহর ও গ্রাম গঞ্জে অসংখ্য শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন । মুসলমানগণ জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন অনুষদে তথ্য-উপাত্তসহ
অসংখ্য পুস্তক রচনা করেন । বাগদাদসহ পার্শ্ববর্তী শহরগুলোতে হাজার হাজার পুস্তকের
সমৃদ্ধ লাব্রেরী ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপিত হয় । এসব গবেষণাকেন্দ্রে কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক
ও বিজ্ঞানীগণ জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন অনুষদে গবেষণা করত: অসংখ্য পুস্তক রচনা করেন
।
০২. মিশরে ফাতেমীয় বংশের শাসন :
মিশরে ফাতেমীয় বংশ প্রায় সাতশত বৎসর রাজ্য শাসন করেন ।
তাঁদের শাসনামলেই কায়রোতে প্রচীন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “জামেউল
আযহার ” বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় । তাঁরা মিশরকে কেন্দ্র করে
জ্ঞান চর্চা ও সাহিত্য চর্চার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলতে সক্ষম হন ।
০৩. স্পেনে মুসলিম সভ্যতা :
মুসলিম শাসকগণ স্পেনের কর্ডোভা নগরীতে বিশ্ববিদ্যালয়
স্থাপনসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন । কর্ডোভা কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের
মসজিদ কম্প্লেক্সে সমৃদ্ধ লাইব্রেরী স্থাপন করত: একটি গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করেন ।
এ ছাড়াও আরও অসংখ্য লাইব্রেরী ও শিক্ষা প্রথিষ্ঠান গড়ে তোলেন ।
মুসলমানদের দ্বারা স্থাপিত তদানিন্তন সময়ে বাগদাদ, মিশর
ও কর্ডোভা নগরীর এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ ছিল জ্ঞান চর্চার জন্য একমাত্র
সূতিকাগার । তখন পর্যন্ত ইউরোপে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি । মূলত: তারা সে
সময় পর্যন্ত ছিল “ড্রাক এজ ” তথা
অজ্ঞতা ও মূর্খতার সাগরে আকণ্ঠ নিমজ্জিত । ইউরোপ থেকে তারা জ্ঞান শিক্ষার জন্য
মুসলমানদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পঙ্গপালের মতো ছুটে আসতো ।
মুসলমানরাই ছিল সে সময়ে শিক্ষা গুরু ।
মধ্য যুগে মুসলমানদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত পাঠাগারসমূহ :
জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় মুসলমানদের উৎকর্ষের মূলেই ছিল
পাঠাগার । শিক্ষা লাভ ও জ্ঞানার্জনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে বই । বই মূর্খতা ও
অজ্ঞতার অভিশাপ থেকে রক্ষা করে । একটি শিক্ষিত ও উন্নত জাতি গঠনে পাঠাগার স্থাপনের
কোন বিকল্প নেই ।
তাই ডা: লুৎফর রহমান বলেছেন : “তুমি
যদি একটি জাতি সত্তার অস্তিত্ব মুছে ফেলতে চাও , তবে
সে জাতির সংস্কৃতি ও লাইব্রেরীগুলো ধ্বংস করে দাও । ”
একটি শিক্ষিত ও আদর্শ জাতি গঠনের মিশন হলো গঠনমূলক বই ।
এই মিশন ও ভিশনকে সামনে রেখেই মধ্যযুগের মুসলমানরা বাগদাদ, মিশর
ও কর্ডোভাকে কেন্দ্র করে সমৃদ্ধ পাঠাগার গড়ে তোলেন । এসব পাঠাগারে তারা এমন সব
সমৃদ্ধ কালেক্সন করতে সক্ষম হয়েছিলেন , তা
অধুনা বিশ্বায়নের যুগেও কল্পনাতীত বলে মনে হয় । এক একটি পাঠাগারে তারা লক্ষ লক্ষ
পুস্তক সমাহরণ করেন ।
শ্বাশ্বত ধর্ম ইসলামের নব উদ্দীপনা ও বিপুল প্রাণশক্তিতে
বলিয়ান হয়ে মুসলমানরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন ভাষায় রচিত মনীষী, বিজ্ঞানী
ও আবিষ্কারকদের গ্রন্থাবলী সংগ্রহ করত: তা আরবী ভাষায় ভাষান্তর করেন । বিশেষ করে
গ্রীক ও ল্যাটিন ভাষায় রচিত গ্রন্থসমূহ সংগ্রহ করত: তা আরবী ভাষায় ভাষান্তরীত করা
হয় । সেগুলোই পরবর্তীকালে বিশ্ববিখ্যাত মুসলিম গবেষক , বিজ্ঞানী
, দার্শনিক, চিকিৎসকদের
আবির্ভাবের পথ তৈরী করে দিয়েছিল ।
অন্যদিকে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার এই প্রবাহমান ধারায় মুসলিম
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছিল সমৃদ্ধ পাঠাগার । এর মধ্যে বাগদাদ কেন্দ্রিক
পাঠাগার ছিল শ্রেষ্ঠ ।
এ ছাড়াও বোখারা, সমরকন্দ, নিশাপুর, মুসল, মার্ভ , মিশর, বসরা, ইস্পাহান, শিরাজ নগর, কায়রো, কর্ডোভা, সেভিল, দামেস্কো, মদীনা, মক্কা প্রভৃতি নগরীর সুপ্রসিদ্ধ পাঠাগারগুলোর কথাও সবিশেষ উল্লেখযোগ্য ।
এ ছাড়াও বোখারা, সমরকন্দ, নিশাপুর, মুসল, মার্ভ , মিশর, বসরা, ইস্পাহান, শিরাজ নগর, কায়রো, কর্ডোভা, সেভিল, দামেস্কো, মদীনা, মক্কা প্রভৃতি নগরীর সুপ্রসিদ্ধ পাঠাগারগুলোর কথাও সবিশেষ উল্লেখযোগ্য ।
বাগদাদ কেন্দ্রিক লাইব্রেরীসমূহ :
মধ্যযুগের মুসলমানদের গ্রন্থাগার সংগঠনের ইতিহাস সত্যই
চমকপ্রদ । তারা বাগদাদসহ বিভিন্ন শহরে শত শত পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন । তন্মধ্যে
বাগদাদের পাঠাগার ছিল সর্ববৃহৎ । এই লাইব্রেরীটি সমৃদ্ধ করার জন্য খলীফা আলমামুনের
পৃষ্ঠপোষকতায় ভারত, স্পেন ও গ্রীক দেশ সমূহে তল্লাশী চালিয়ে দূর্লভ পুস্তকসমূহ
কালেক্সন করেন । এই লাইব্রেরীতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সব অনুষদের পুস্তকসমূহ সংগ্রহ করা
হয় । ছয় লক্ষেরও বেশি পুস্তক এখানে সংগৃহীত হয় । ৮৯১ খৃ: সালে শুধু বাগদাদেই এক
শতেরও বেশি পাঠাগার স্থাপিত হয় । ১২৩৬ খ্রিষ্টাব্দে মঙ্গলীয়দের হাতে বাগদাদ
বিধ্বস্ত না হওয়া পর্যন্ত বাগদাদ ছিল
ইসলামী শিক্ষা সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল প্রাণ কেন্দ্র ।
মিশর কেন্দ্রিক লাইব্রেরী স্থাপন :
এটা সর্বজন স্বীকৃত যে, মধ্যযুগের
মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ ছিল মিশরের কায়রো শহর । তদানিন্তন সময়ের
শাসক খলীফা আল আযিয ( ৯৭৫-৯৯৬ খৃ: ) সকল কবি ও পন্ডিতদের নিরাপদ আশ্রয় দিতেন এবং
তাঁদের জ্ঞান চর্চার জন্য ৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে বিরাট এক সংগ্রহশালা তথা লাইব্রেরী
স্থাপন করেন । এ ছাড়াও কায়রোতে আর ও অনেক সংখ্যক লাইব্রেরী স্থাপন করা হয় । একাদশ
শতকের গোড়ার দিকে শূধু কায়রো কেন্দ্রিক লাইব্রেরীতে পুস্তক সংগ্রহের সংখ্যা ছিল ৬,০০০০০
এর উপরে ।
১০০৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে খলীফা আল হাকিমের শাসনামলে ২৪০০
খন্ডে আলকুরআনের তাফসীরসহ অপর একটি লাইবেরীর সংগ্রহের সংখ্যা ছিল ১০০০০০ টি
।
জ্ঞান চর্চা, অনুশীলন
ও পৃষ্ঠপোষকতার ক্ষেত্রে খলীফা আল হাকিমের শাসনামলে ৩৯৫ হিজরী সালের ৮ই জামাদিউস
সানী ( ১০০৪ খৃ: ) সর্বসাধারণের জন্য “জ্ঞান
ভবন ” ( হাউস অব উইজডম ) এর দ্বার উন্মোচিত
হয় । সর্বসাধারণের জন্য এই জ্ঞান ভবনটি ছিল অবারিত । শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনে
বই-পত্র বাড়িতে নিয়ে যেতো । যার ইচ্ছা জ্ঞান ভবনে পড়তো, অনুলিপি
করতো ইচ্ছা মতো । পন্ডিতবর্গ ক্বুরআন হাদীস, সাহিত্য, ব্যাকরণ, ইতিহাস, দর্শন, জ্যেতির্বিদ্যা
, বিশ্বকোষ, অভিধান
এবং চিকিৎসা শাস্ত্র নিয়ে গবেষণা ও অধ্যয়ন করতেন ।
স্পেনে প্রতিষ্ঠিত লাইব্রেরীসমূহ :
পূর্বেই আলোচিত হয়েছে যে, স্পেনে
মুসলিম শাসকদের সহযোগীতায় অসংখ্য লাইব্রেরী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে । যার
বিস্তারিত বিবরণ ইতিহাস গ্রন্থে আলোচিত হয়েছে ।
এ ছাড়াও সে সময়ে প্রায় প্রতিটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে
ব্যক্তিগত পাঠাগারও পরিদৃষ্ট হতো ।
অমুসলিম ঐতিহাসিকদের মুসলিমদের বিরুদ্ধে তথ্য সন্ত্রাস :
মধ্যযুগের মুসলিম সভ্যতার অবদান ইতিহাস গ্রন্থে বিধৃত হয়েছে
। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য যে, ইউরোপের
কতিপয় মুসলিম বিদ্বেষী ঐতিহাসিক ইতিহাস বিকৃত করত: মুসলমানদের বিরুদ্ধে তথ্য
সন্ত্রাস চালিয়েছেন । তারা মুসলিম সভ্যতার যুগকে “বর্বরতার
যুগ” , - “মধ্যযুগীয় বর্বরতা ” কিংবা
“ তুঘলকী শাসন ” ইত্যাদি
মন্দ বিশেষণে বিশেষিত করেছেন ।
উপসংহার :
উপরোল্লিখিত চিত্রই ছিল মধ্য যুগের মুসলিম সভ্যতা ও
সংস্কৃতির সংক্ষিপ্ত ফিরিস্তি । জ্ঞান-গরিমা, জ্ঞান
প্রীতি ,বিদ্যানুরাগ ছিল মধ্য যুগের ইসলামী শিক্ষা ,কৃষ্টি
ও চিন্তা জগতের প্রধান বৈশিষ্ট্য ।
সৃজনশীল ও মননশীল জ্ঞান চর্চার জোয়ার , শিল্প
বিজ্ঞানের অকৃত্রিম চর্চা এবং গভীর বিদ্যানুরাগের অনুপ্রেরণা হিসেবেই সারা মুসলিম
জাহানে অগণিত ব্যক্তিগত, পাবলিক ও সরকারী পাঠাগার, বিদ্যালয়
এবং পুস্তকের বিপণীকেন্দ্র গড়ে তোলা সহায়ক হয় ।
মধ্য যুগের মুসলমানদের গ্রন্থাগার জগতে গভীর অভিনিবেশ
ইসলামের ইতিহাসে এক সমুজ্জ্বল অধ্যায় । শুধু ইসলামের ইতিহসই নয় , বিশ্বের
ইতিহাসে অদ্যাবধি কোন জাতি এমন নজির স্থাপন করতে পারিনি । কিন্তু দু:খের সাথে বলতে
হয় , মুসলমানরা সে ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারিনি ।
পরিশেষে একথা বলা যায়, মধ্য
যুগীয় মুসলিম সভ্যতা মানব সভ্যতার জগতে সমগ্র বিশ্বকে জ্ঞান-বিজ্ঞান সাধনায়
প্রখরভাবে সাড়া দিতে পেরেছিল , তাতে
সন্দেহের কোন অবকাশ নেই । - (চলবে )
- ইতি
উপস্থাপক
মো: ইসহাক মিয়া
সহকারী অধ্যাপক ( কামিল হাদীস বিভাগ )
বিজুল দারুল হুদা কামিল স্নাতকোত্তর মাদরাসা
বিরামপুর, দিনাজপুর ।
No comments:
Post a Comment